।। সম্পাদকিয় কলম ।। 

সমাজ শতছিন্ন,বেআব্রু। প্রতি মুহূর্তে মূল্যবোধের অবনতি ঘটছে। শিক্ষা, সংস্কৃতি, চেতনা আক্রান্ত। প্রতিদিন বেদনার বোঝা প্রসারিত হচ্ছে। প্রবাহমান কাল ধরে সময় পিছনে ফেলে দিয়েছে সবকিছু। কাল প্রবাহে আসা-যাওয়া। মাঝে কিছু ক্ষন অতিবাহিত করা।একরাশ আশা বুকে নিয়ে শুরু হচ্ছে “একবিংশের নকশা”-র পথ চলা। নতুন কুশলীরা নব চেতনায় রাঙিয়ে দেবে আগামীকে। মননের ছবি প্রতিফলিত হবে কলমে; আর তারপ্রগাঢ় প্রতিচ্ছবি তমসাকে দূর করে আলোর দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে আমাদের।বর্তমান প্রযুক্তির যুগে বিশ্ব হাতের মুঠোয়। নিমেষেএক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে পৌঁছে যায় খবরাখবর। সেই প্রেক্ষাপটে বাংলাভাষী মানুষের দুয়ারে আবির্ভাব হচ্ছে “একবিংশের নকশা”। যেখানে সীমান্তের বাঁধন নেই। সাত-সমুদ্র পাড়ি দেবার প্রয়োজন নেই। আছে পারস্পরিক ভালোবাসা।বাংলা তথা ভারতের বড় উৎসব দুর্গা উৎসব। ধাকে কাঠি পড়ে গেছে। শিউলি ফুলের সুগন্ধে মাতোয়ারা আগমনী। তিল তিল করে জমে থাকা আবেগ আনন্দের প্রকাশ ঘটে এই উৎসবে। পুতুল খেলার ছলে মাকে কাছে টেনে নেওয়া আবার অশ্রু সজল চক্ষে তাঁকে বিদায় জানান। মাটির প্রতিমা আড়ালে যেন জ্যান্তপ্রতিকৃতি স্থাপন করে রেখেছি অন্তরে। উৎসবের আবহে, আনন্দের প্লাবনে প্রকাশিত হল আমাদের প্রথম সংখ্যা।নবাগত হিসাবে অনিচ্ছাকৃত কিছু ভুল রয়েই যেতে পারে। লেখা মনোনয়নের ক্ষেত্রেও জমতে পারে রাগ অভিমান। সব কিছু বিচার করে আমরা লেখা নির্বাচন করার চেষ্টা করেছি। আমরা ধন্য করেছেন। তাঁদের কাছে কৃতজ্ঞ। সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষ আগ্রহ প্রকাশ করাই আমাদের প্রথিতজশা লেখক সাহিত্যিক তাদের মূল্যবান সৃষ্টি আমাদের কাছে দান করে সামিল হয়েছেন। তাদেরকেও ধন্যবাদ।বেশ কিছু সাহিত্য রস আপনাদের মুগ্ধ করবে। গল্প, কবিতা ও ধারাবাহিক উপন্যাস, আন্যান্য রচনা, এইসংখ্যাকে সমৃদ্ধ করেছে।দিপেশ ও শুভঙ্করের অক্লান্ত প্রচেষ্টায় বাংলা সাহিত্যের আসরে আত্মপ্রকাশ ঘটল “একবিংশের নকশা”-র। ওদের চেষ্টা ও পরিশ্রম ছাড়া এটা কখনই সম্ভব হত না। আশা করি আপনারা পাশে থাকবেন।নির্দিষ্ট সময়ে প্রকাশ করতে না পারার জন্য আমরা ক্ষমাপ্রার্থী। আপনাদের সুচিন্তিত মত আমাদের সমৃদ্ধ করবে এই আশা রাখি।মূল্যবোধ, নৈতিকতা, মানবিকতা, সুষ্ঠু পরিবেশ গঠনে আমরা যদি কিছু করতে পাড়ি, সাহিত্যের জগতে নতুন ব্যক্তিত্বের আত্মপ্রকাশ ঘটে, তাহলে আমাদের স্বপ্ন সার্থক হবে। প্রধান সম্পাদকঃ- অপূর্ব বিশ্বাস